পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আবুল কাশেম নিহত : আটক ১১

জাহিদুল কবীর মিল্টন :

যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙরপুর মাজারে পাশে বন্দুকযুদ্ধে আবুল কাশেম (৫১) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। তিনি যশোরের মণিরাপুর উপজেলার শোলাপুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত আরো ১১ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৩রাউন্ড গুলি, তিনটি হাসুয়া, এক জোড়া লাল রঙ্গের পুরাতন বাটার স্যান্ডেল, ১৫ গজ নাইলনের রশি ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালউদ্দিন শিকদার নিহত ডাকাতের পরিচয় জানান। এর আগে নিহত আবুল কাশেমের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন ও কোতোয়ালী থানার ওসি অপূর্ব হাসান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালউদ্দিন শিকদার ঘটনার লিখিত বিবরণে বলেন, সোমবার (১৩মে) রাত আড়াইটার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙরপুর মাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর একদল ডাকাত গাছের ডাল ফেলে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এখবর পেয়ে পুলিশের টহল দল ঘটনা স্থলে পৌছায়। ডাকাত দল পুলিশের গাড়ির আলো দেখে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। সরকারি জানমাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পাকা রাস্তার পশ্চিম দিকের মাঠের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ দেখে নোঙরপুর মাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে ঢালে একজন অজ্ঞাত নামা ডাকাত মাথায় গুরুত্বর জখম হয়ে পড়ে আছে। তার ডান হাতের পাশে ম্যাগজিনসহ ১টি পিস্তল, ম্যাগজিনে ৩ রাউন্ড গুলি লোড করা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ৩টি হাসুয়া, এক জোড়া লাল রঙের পুরাতন বাটা সেন্ডেল, বিভিন্ন পায়ের পুরাতন চামড়ার সেন্ডেল ৬টি, ১টি হাত করাত, ১৫ গজ লাইলনের রশি, ও পাঁচটি বাঁশের লাঠি পাওয়া যায়। আহত অজ্ঞাত নামা ডাকাতকে পুলিশ দ্রুত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিউল্লাহ সবুজ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

সালাহ উদ্দিন সিকদার বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ প্রথমে মণিরামপুর উপজেলার ইত্তা মাঠপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামকে আটক করে।এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যায় ক্রমে ডাকাত সদস্য শাহিনুর (৩৫), শহিদুল গাজি (৩৫) ধনিরাম দাস (৪০), আসলাম বিশ্বাস (২৯), আলম হোসেন ওরফে ইমরান (২২), মিজানুর রহমান মিন্টু (৪০), আজিবর গাজী (৪৮), বাবর আলী শেখ (৩৬) ও ওহিদুজ্জামান বাবুকে (৩২) আটক করা হয়।

এরা যশোর ঝিনাইদহ, মাগুরা, খুলনাসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।

আটক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার নকিপুর এলাকার মনিরুদ্দিনের ছেলে ওহিদুজ্জামান বাবু বলেন, আগে তিনি শ্যামনগরের একটি হোটেলে কাজ করতো। সেখানে আলমগীর নামে একজনের সাথে তার পরিচয় হয়। সে তাকে ডাকাতির পথে নামায়। গত ৬ মাসে যশোরের কুয়াদা, খুলনার চুকনগর ও মণিরামপুরের রাজগঞ্জ সড়কে মোট ৫টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল।